“যে মা তোমাকে গর্ভে ধারণ করেছে, সে মায়ের প্রতি কর্তব্য কর ও শ্রদ্ধা নিবেদন কর- আল- কুরআন।” চর অঞ্চল নামে পরিচিতি নবগঠিত মেঘনা উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা ছিলো খুবই নাজুক। দরিদ্রতা যার নিত্যসঙ্গী সেখানে সন্তানকে উচ্চ শিক্ষিত করা দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না। এইরকম পরিস্থিতে মেঘনার বিভিন্ন গ্রাম থেকে উঠে এসেছে অনেক সফল ব্যক্তি। যাদের জীবন কাহিনী পর্যালোচনা করলে তাদের মায়েদের অবদানই আগে চলে আসে। সেই লড়াকু মায়েদের কে সম্মানিত করে শিক্ষিত জাতিগঠনে অন্য মায়েদেরকে উৎসাহিত করতে "আমরা মেঘনাবাসী'র" রত্নগর্ভা মা নির্বাচন ও তাদের সম্মাননা প্রদানের কার্যক্রম হাতে নেয়। ২০১৫ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি মানিকারচর বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতিতে প্রতি গ্রামে গ্রামে গিয়ে রত্নগর্ভা মা খুঁজে বের করার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং দীর্ঘ ৩ মাস অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মেঘনার ১০৬টি গ্রাম থেকে প্রায় ৮০টি মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়। যাদের প্রস্তাবিত র্ফম ২২ মে ২০১৫ সালে সম্মানিত বিচারকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর রত্নগর্ভা মা সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে সম্মানিত বিচারকদের বিচারে ২২ জন মা’কে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং প্রস্তাবিত ৮০ জন মাকেই রত্নগর্ভা বলে আখ্যায়িত করা হয়। উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সকল রত্নগর্ভা মা ও তার সন্তানদের উপস্থিতিতে এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সকলেই যার যার অবস্থান থেকে মেঘনাকে এগিয়ে নেওয়ার মনবাসনা ব্যক্ত করেন। উক্ত রত্নগর্ভা মা নির্বাচনে সম্মানীয় বিচারক প্যানেলে দায়িত্ব পালন করেন: ১। ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মোসলেহউদ্দিন, পিএসসি, বিএন (অব:) অধ্যক্ষ, বাংলাদেশ নেভী কলেজ, ঢাকা। ২। মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সিইও, ড্যাফোডিল গ্রæপ, ৩। মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান ভঁ‚ইয়া, সাবেক পরিচালক, অর্থ ও হিসাব বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ৪। প্রফেসর মোঃ আব্দুল জলিল, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা সিটি কলেজ, ৫। ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজার, ফোন্স-২, বিটিসিএল, ৬। মোঃ আমজাদ হোসেন, সেক্রেটারি জেনারেল, বিএপিএলসি।
অনুদান দেখুন# | সদস্যের নাম | মোট অনুদান |
---|